সারাদেশ

ভুল ইনজেকশনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ

ভুল ইনজেকশনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

মৃত্যু হওয়া ওই যুবকের নাম শাহরিয়ার মাহমুদ আবির। তিনি উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল্যাহ বাহারের ছেলে। তিনি আবুধাবি থাকতেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই হাসপাতালে আবির ওই যুবককে ভুল ইনজেকশন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

আবিরের ছোট ভাই ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন বলেন, আবির গত বৃহস্পতিবার আধুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার হালকা ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিলে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় ডিউটি ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মাহমুদ তার শরীরে একটি ইনশেকজন পুশ করেন। এতে তার ভাইয়ের চোখ-মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা খারাপ দেখে রাত ৮টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রেফার্ড করে দেয়। এরপর তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন বলেন, প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই।

এদিকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি আ ফ ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে কিছুই বুঝবে না। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই প্রেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি দেয়। পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর প্রেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে, অস্থিরতা করছে। অনেক সময় ডেঙ্গুর শক থেকেও এমনটা হতে পারে, যা মাথায়ও ইফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগীর একটু প্রেশার বাড়ে এবং স্টেবল হলে রোগীর স্বজনরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়।’





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।