ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রধান করা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে ভোলা শহরের বাংলাস্কুল মাঠে ‘আগামীর ভোলা’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। পরে দুপুরের দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ কর্মসূচিতে ভোলার দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে এ সব দাবি নিয়ে গত শুক্রবার থেকে ভোলা থেকে সিএনজি করে ঢাকায় গ্যাস নেওয়ার পথে ইন্ট্রাকো কোম্পানির গ্যাসভর্তি গাড়ি আটকে দেয় স্থানীয় ছাত্র-জনতা। শনিবার রাত পর্যন্ত মোট ৮টি গ্যাসভর্তি গাড়ি শহরের হেলিপ্যাডে আটকে রাখা হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পরও আন্দোলনকারীরা গাড়িগুলো আটকে রাখেন এবং দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এক বিন্দু গ্যাস ভোলার বাইরে নিতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা ভোলাবাসী বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকারে অনেক পিছিয়ে। আমাদের প্রাণের দ্বীপ জেলা ভোলায় রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুত। বাপেক্সের হিসেবে ভোলায় প্রায় ৭টিসিএফ গ্যাস মজুত রয়েছে।
সারা পৃথিবীতে উত্তোলন স্থানের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ভোলাবাসীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নামেমাত্র দুই হাজার ৩৩৫টি আবাসিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ বর্তমানে দৈনিক ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এ ক্ষেত্রে আমরা বৈষম্যের স্বীকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আগামীর ভোলার মুখপাত্র মীর মোহাম্মদ জসিম।