সারাদেশ

মহাসড়ক অবরোধ, চাপ বেড়েছে আঞ্চলিক সড়কে

মহাসড়ক অবরোধ, চাপ বেড়েছে আঞ্চলিক সড়কে


ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বিকল্প রুট হিসেবে ফরিদপুর-তাড়াইল আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করছে যানবাহনগুলো। ফলে এ সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়ক অবরোধ করায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার সড়ক পথে যোগাযোগ সচল রাখতে বিকল্প রুট হিসেবে ফরিদপুর-তাড়াইল আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করছে যানবাহনগুলো। তবে বিকল্প পথে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারে প্রায় দেড় কিলোমিটার ও সদরপুর বাজার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

কৃষ্ণপুর বাজারের ব্যবসায়ী আফতাব ফকির বলেন, মহাসড়ক অবরোধের কারণে যানবাহনগুলো বিকল্প পথে আমাদের কৃষ্ণপুর বাজার হয়ে যাচ্ছে। এতে বাজার এলাকায় ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে, দোকানে ক্রেতারা আসতে পারছে না।

সদরপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, যানজটের কারণে সদরপুর বাজার এলাকায় হাঁটাচলা পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। গাড়ির হর্নে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগী পর্যন্ত সবাই দুর্ভোগে পড়ছে। আমরা চাই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।

ঢাকাগামী যাত্রী শেখ জুলহাস বলেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য সকালে বের হয়েছি, কিন্তু মহাসড়ক অবরোধ থাকায় বিকল্প পথে যেতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় ও ভাড়া খরচ হচ্ছে। সাধারণ যাত্রী হিসেবে আমরা ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছি।

সদরপুর থানার ওসি সুকদেব রায় বলেন, হামিরদি ও আলগি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রতিবাদে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। ফলে যানবাহনগুলো বিকল্প পথে চলাচল করছে। তবে বিকল্প রুটে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় কৃষ্ণপুর ও সদরপুর বাজার এলাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। পুলিশ সর্বদা সড়কে দায়িত্ব পালন করছে, যাতে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত ভোগান্তিতে না পড়ে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।