সারাদেশ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা


নওগাঁয় ভর্তি প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজের স্টাফদের বিরুদ্ধে। কলেজের সেন্ট্রাল মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা করা হয় বলে জানা গেছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী একই কলেজ্জের শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন জুন।

ঘটনার পর জুনায়েদ কলেজের মূল ফটকের সামনে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অবস্থান নেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সামসুল হক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ৭-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তির সময়। যেখানে নিয়মিত ছাত্রদের জন্য ৩ হাজার ৪৯১ টাকা এবং ছাত্রীদের জন্য ৩ হাজার ২৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষার্থীদের পাঠ বিরতি আছে তাদের জন্য আরও ১৫০ টাকা বাড়তি দিতে হবে।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৯টা থেকে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন জুনায়েদ। পরে অধ্যক্ষ প্রফেসর সামসুল হক ও অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাকে বুঝিয়ে কলেজ চত্বরে নিয়ে আসেন। এ সময় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে কলেজের স্টাফ।

তবে মারধরের আগে কলেজের এক কর্মচারীকে কেউ মারধর করছে এসব কথা বলে ওই কলেজের সেন্ট্রাল মাইকে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা দেওয়ার পর কলেজ প্রশাসনের ১৫-২০ জনের একটি দল জুনায়েদ হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। ঘটনার পর থেকে জুনায়েদ বিচারের দাবিতে কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বলেন, কলেজের কলা ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়- এক কর্মচারীকে মারধর করা হচ্ছে। কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারের পাশে মারধরের হৈ-চৈ শোনা যাচ্ছিল। বেশ কয়েক মিনিট হৈ-চৈ হয়। পরে দেখি জুনায়েদ ভাইকে মারধর করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী জুনায়েদ বলেন, কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছিল। যা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর তুলনায় প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কলেজ প্রশাসনকে ফি কমানোর অনুরোধ করেছিলাম। তারা বিষয়টা বিবেচনায় নিতে চায়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বলা হয়। পরে অধ্যক্ষ স্যার আমাকে নিয়ে কলেজে চত্বরে শহীদ মিনারের দিকে নিয়ে আসেন। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে কলেজের স্টাফ আমার ওপর স্ট্যাম্প, বাঁশ এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষসহ সব অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করছি।

নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সামসুল হক জানান, কলেজের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ফি বৃদ্ধি করতে পারব। এ বছর ৫০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা থেকে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধসহ গরিব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হয়।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুনায়েদ ভর্তি শাখায় গিয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে বলে জানায়। যেহেতু ওই কক্ষে কম্পিউটারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল, সে জন্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলি। সে কোনোভাবেই আমাদের কথা শুনছিল না। তখন কর্মচারীরা যেভাবেই হোক বের করে দিয়েছে। আমি শুনেছি কর্মচারীদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়েছে। মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।