রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে নগরের পঞ্চবটী এলাকার খড়বোনার গাড়োয়ানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রবিউল ইসলাম রবিকে (৪০) গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
রবির বাড়ি নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকায়। তিনি নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের ছোট ভাই। রবি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি।
আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, রবিউল নগরীর সাহেব বাজার থেকে বিনোদপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় খড়বোনা এলাকায় রিকশার গতি রোধ করে দুর্বত্তরা রবিউলকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকরকে বিশ্বাস জানান, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তির পর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবিউল ইসলাম রবির নামে পাঁচটি মামলা আছে। এর মধ্যে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি রবিউল।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শহিদুল কারাগারে থাকলেও রবিউল জামিনে বের হয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাবি ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী নিহত হন। এ মামলায় গত বছরের গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম।