সারাদেশ

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারের দাবি

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারের দাবি


লক্ষ্মীপুরে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি অধ্যক্ষ বশির আহমদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

রোববার (১ জুন) দুপুরে শহরের আল মুঈন ইসলামী অ্যাকাডেমির সামনে মানববন্ধন করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত লোকজন মাদ্রাসার বাইরের অংশের কাচ ভাঙচুর করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় মাওলানা নুরনবী, খালেদ মাহমুদ, ইকবাল মাহমুদ, নিহত সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির মাতাব্বর ও মা জয়নব বিবি।

বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা বলছে সানিম আত্মহত্যা করেছে মাদ্রাসার তিন তলায়। কিন্তু তার মরদেহ পাওয়া গেছে নিচতলার একটি কক্ষে। নিচতলায় নামানোর কোনো ফুটেজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। অভিযুক্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।

সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দফায় দফায় তাকে পিটিয়েছে। সানিম ফাঁসি দেয়নি। তার হত্যাকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমেদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে ঘটনার দিন তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ক্লাস শেষে সবাইকে নামাজ আর খাওয়ার বিরতি দেওয়া হয়। নামাজ পড়ে সবাই খাওয়ার জন্য যায়। কিন্তু সানিম যাইনি। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সে গামছা নিয়ে টয়লেটের প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর ফাঁড়ি থানা পুলিশের ইনচার্জ (দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসআই ফজলুল করিম বলেন, মামলার এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মাদ্রাসা থেকে নিহত সানিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির মাতব্বরের ছেলে ও মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।