সারাদেশ

লোহাগড়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

লোহাগড়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা


নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কলেজপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. ওবায়দুল হক (সবুজ) এর বিরুদ্ধে। অভিযোগটি করেছেন একই এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. কামরুজ্জামান কচি লোহাগড়া পৌরসভার কলেজপাড়ায় তার মালিকানাধীন ৩০.৪৩ শতাংশ জমিতে দুই তলা ভবন নির্মাণ করছেন। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. তাইবুল হাসান। গত ১ মার্চ দুপুরে একই এলাকার মৃত জহুরুল হকের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. ওবায়দুল হক (সবুজ) জোর করে নির্মাণস্থলে প্রবেশ করেন এবং শ্রমিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি নির্মাণ সামগ্রী ফেলে দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন। এ সময় নির্মাণাধীন ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাকিবুল ওই মেজরকে (অব.) বাধা দিতে গেলে তাকে মারধোর করেন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে ওবায়দুল হক সেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অন্যদের ঘটনাস্থলে আসতে বলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক ইঞ্জিনিয়ার তাইবুল হাসানকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর উকিলকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে, না হলে কাজ বন্ধ থাকবে। নেক্সট টাইম তোকে এখানে দেখলে হাত-পা ভেঙে খুন করে ফেলবো।’

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী মো. কামরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা লোহাগড়া থানায় চারটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ভুক্তভোগী আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান কচি জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর ওবায়দুল হক সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় আর্থিক অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে ২০০৮ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি পান। এরপর থেকেই তিনি নানা ধরনের অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সবুজের ব্যবহারিত মোবাইল নম্বরে বারবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।