শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ‘একটি অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পুরো সমাজ চলেছে। হঠাৎ করে রাতারাতি যে সব ঠিক হয়ে যাবে সেটা ভাবাও মনে হয় ঠিক না। এটাতে আমরা যথেষ্ট পরিমাণে উদ্বিগ্ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা যেন আর না ঘটে তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন শিক্ষা উপদেষ্টা এবং ফরিদপুর নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগে (হাসিনার আমল) দাবি-দাওয়া উত্থাপন করার মতো সুযোগ-সুবিধা ছিল না। যখনই কেউ কোনো দাবি উত্থাপন করত তখন রাষ্ট্র তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। এখন সেই অবস্থা নেই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাষ্ট্র মনে করে, এখন একটি ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের দাবিদাওয়া আমরা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখছি। আমরা চেষ্টা করব, তারা যেটি চাচ্ছে, সেটি নিয়মের ও আইনের মধ্যে এবং যুক্তিসংগত সমাধান করার। তারা হয়তো অতীতের মতো ভাবছে, সমাধান হবে না, কিন্তু আমরা অতি দ্রুত সমাধান করব।’
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের মনোভাব কী, জানতে চাইলে ড. সি আর আবরার বলেন, ‘আমি কোনো ব্যক্তি নিয়ে কথা বলব না, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এখানে অংশীদার যারা ছিলেন, তাদের নিয়ে কমিটি হচ্ছে, বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তারা যে রিকমেন্ডশন (পরামর্শ) দেবেন, সেগুলো সরকার বিবেচনায় নেবে। তবে সমস্যা সমাধান করার যে প্রক্রিয়া, সেটি ত্বরান্বিতভাবে আমরা সম্পাদন করছি এবং আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।’
এ সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৯ সালে কবি হুমায়ুন কবীরকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ জহিরউদ্দিন লাল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে সাহিত্য পরিষদ গঠন করা হয়। ১৯৮৩ সালে সাহিত্য পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়।