সারাদেশ

সংস্কারের এক বছরেই ভেঙে গেছে সড়ক

সংস্কারের এক বছরেই ভেঙে গেছে সড়ক


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পেঁচিবাড়ি-চাঁনদিয়াড় আঞ্চলিক পাকা সড়ক। সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারকাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। সংস্কারের এক বছরেই ভেঙে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁচিবাড়ি বাজার থেকে জালশুকা হয়ে চাঁনদিয়াড় সেতু পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার কাঁচা সড়ক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ২০১১ সালে পাকা করে। সড়কটি নির্মাণের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু ২০২০ সালে সড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খালটি খনন করার ফলে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যায়।

২০২৪ সালে সড়কটি পুনরায় মেরামত করা হয়। সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু বছর না পেরোতেই বৃষ্টির কারণে ফের সড়টির বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোনোভাবেই সড়কটি টেকসই হচ্ছে না।

এদিকে পেঁচিবাড়ি বাজার থেকে চাঁনদিয়াড় সেতু পর্যন্ত পাকা সড়কের গা ঘেঁষে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে সরকারি একটি খাল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালে খালটির পুনঃখননের কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

বাঙ্গালী নদী থেকে এ খাল দিয়ে একসময় পানি প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু আশির দশকে খালের উৎসমুখ পেঁচিবাড়ি নামক স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেটি পাকা সড়কে পরিণত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবহন চলাচল করে। খালের উৎসমুখ বন্ধ করায় দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্গালী নদী থেকে খালের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারছে না।

এ ছাড়া খালের পানিতে স্রোত নেই। তারপরও সাড়ে চার কিলোমিটার পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সড়কটির অনেক স্থান দেবে গেছে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, খাল পুনঃখনন করতে গিয়ে পাকা সড়কের পাশে জায়গা রাখা হয়নি। এ কারণে পাকা সড়কটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। বর্যা মৌসুমে সড়কটি বারবার ভেঙে খালের পেটে যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী নতুন করে সড়কটি সংস্কার করার সুযোগ নেই। তবে ভাঙন স্থানগুলো অস্থায়ীভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।