সারাদেশ

সেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুনঃতদন্ত

সেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুনঃতদন্ত


টেন্ডার বা বন বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বরের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কে এম ইফতেখারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তদন্তের পর এবার শুরু হয়েছে বিভাগীয় পুনঃতদন্ত।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডেপুটি চিপ ইপিডিমিওলজিস্ট ডা. রফিকুল আলমের নেতৃত্বে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রধান ফটকের সামনে থাকা মেহগনি গাছ ও মূল ভবনের পেছনে থাকা কাঁঠাল, জাম্বুরা ও আমগাছ সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কাটা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল ইসলাম কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন বলে সচেতন মহলের দাবি।

এর আগে, ‘অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা’ এবং ‘প্রকল্পের টাকা লুটপাটের অভিযোগে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি’ শিরোনামে গত ৭ মার্চ ও ১৮ মার্চ দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলাম তারাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে ব্যাকডেটে গাছ কাটার অনুমোদন পত্র চেয়েছিলেন। উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান খাঁন রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা, চাকরিবিধি ও নৈতিক মূল্যবোধ থেকে ব্যাকডেটে গাছ কাটার অনুমোদন দিতে অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়াও তিনি সরকারি গাছ কাটার প্রমাণ লোপাট করতে কর্তনকৃত গাছের গোড়ার অবশিষ্ট দৃশ্যমান অংশ তুলে ফেলেছেন।

রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডেপুটি চিপ ইপিডিমিওলজিস্ট ডা. রফিকুল আলম জানান, জেলা অফিসের তদন্তের পর বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, আমরা বিষয়টা জানি, পরিচালককেও বলা হয়েছে। লোকাল প্রশাসনের সঙ্গে ডাইরেক্টর এডমিনের কথা হয়েছে। বিষয়টা আমরা দেখছি।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।