আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম তার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকায় ফিরে গিয়েই তিনি এই তালাক কার্যকর করবেন। হিরো আলমের পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা যাওয়ার সময় তার স্ত্রী রিয়া মনির বাবার পাশে না থাকার অভিযোগ তিনি এই তালাকের ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার এরুরিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম অভিযোগ করেন, তার মুমূর্ষু বাবাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে প্রায় এক মাস অবস্থান করলেও স্ত্রী রিয়া মনি বাবাকে দেখতে আসেননি, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে লাশও দেখতে আসেননি।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা যান। বুধবার বগুড়ার এরুলিয়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এরপর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে স্ত্রী রিয়া মনিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বয়কটের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে রিয়া মনি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরো আলমকে পাল্টা দোষারোপ করেন। তার জবাব দিতেই মূলত তিনি এই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ২০১৭ সালে প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে (হিরো আলম) বগুড়ায় মামলা করেন। ওই মামলাকে কেন্দ্র করে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সংসার ভেঙে যায়। ২০২২ সালে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙে যায়। এরপর হোটেল রিয়া মনির (হিরো আলম প্রযোজিত সিনেমার নায়িকা) সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে সময়ে তারা বিয়ে করেন।
হিরো আলমের অভিযোগ, বিয়ের পর নানা সময় তাকে না জানিয়ে অন্যদের সঙ্গে ভিডিও কনটেন্ট করা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। একাধিকবার বারণ করার পরও তিনি অন্যদের সঙ্গে ভিডিও কনটেন্ট করেছেন। সর্বশেষ গত এক মাস ধরে তার বাবা রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে সংকটপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময়ে তার স্ত্রী রিয়া মনি বা তার পরিবারের কেউ হাসপাতালে দেখতে আসেননি। মারা যাওয়ার পরও তারা লাশ দেখতে আসেননি। উল্টো হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় অনুমতি ছাড়াই রিয়া মনি অন্যদের সঙ্গে শুটিং করেছেন। সেই কনটেন্ট নিজের ফেসবুক পেজে আপলোডও দিয়েছেন। এসব কারণে বুধবার তাকে বয়কটের (তালাক) ঘোষণা দিলে রিয়া মনি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উল্টো দোষারোপ করেছেন। এ অবস্থায় রিয়া মনির সঙ্গে সংসার করা আর সম্ভব নয়। তাকে তিনি তালাক দেবেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে সারা দেশে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।