এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, কোনো হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না। ১০টা গুন্ডা ২০টা গুন্ডা— নির্বাচন ঠান্ডা, এই দিন আমরা ৫ আগস্টে শেষ করে এসেছি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বড়কামতা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যার পেছনে যত গুন্ডা, সে তত বড় নেতা। কিন্তু নেতৃত্ব ব্যাপারটা ভিন্ন। হোন্ডা-গুন্ডা দিয়ে নেতৃত্ব বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। নেতৃত্ব তৈরি হবে নেতার গুণাবলী থেকে।
তিনি বলেন, এনসিপি হলো ইনসাফের পক্ষে। আপনি যদি ইনসাফের পক্ষে থাকেন তাহলে ধরে নেবো আপনি এনসিপির পক্ষের লোক। এনসিপি করে বেইনসাফি কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। এনসিপির নেতা হয়ে বেইনসাফি কাজ করে প্রোগ্রামে হাজার হাজার লোক নিয়ে আসেন সেটা আমাদের দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, সত্যের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিটা গ্রাম মহল্লা ইউনিয়ন ভিত্তিক সবাইকে এক হয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। অবিচার-অনাচারের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এনসিপি সর্বদা সত্যের পক্ষে আছে। আপনারা সত্যের পথে থাকলে ন্যায়ের পথে থাকলে আমি হাসনাত আব্দুল্লাহ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকব।
‘অপরাধ করতে শক্তির প্রয়োজন। রাজনৈতিক ব্যাকআপ নিয়ে স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মীরা অপরাধী হয়ে ওঠে। গ্রাম পর্যায়ে মানুষজন যদি অন্যায়ের বিপক্ষে সংঘবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায় তখন অপরাধীরা আর সাহস পাবে না’— বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা অপরাধ দমন করবে তাদেরই অপরাধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক। অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে থানায় যাবেন গিয়ে দেখবেন সেই অপরাধী পুলিশের সঙ্গে চা খায়। আপনি থানায় ঢুকতে পারবেন না। পুলিশের ও দোষ নেই, স্থানীয় এমপির কথা না শুনলে পুলিশকে খাগড়াছড়ি রাঙামাটিতে ট্রান্সফার করার ভয় দেখায়।
তিনি বলেন, জনগণের পাশে থাকতে এমপি চেয়ারম্যান বা মেম্বার হওয়ার দরকার নেই। সত্য কথা বলতে জনগণের পাশে থাকতে আপনি মানুষ হলেই যথেষ্ট। আমরা চাই আপনারা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকেন। সত্য বলার জন্য রাজনৈতিক শেল্টারের প্রয়োজন নেই। তবে সত্য বলার পর আপনাকে যদি কেউ বাধা দেয়, কেউ যদি জুলুম করে তবে আমি আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াব।
এনসিপির দেবিদ্বার উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী জামাল মোহাম্মদ কবিরের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. আরমান হোসাইন, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠন নাজমুল হাসান নাহিদ, সার্চ কমিটির সদস্য কাদির আহমেদ, সার্চ কমিটির সদস্য সাকিল আহমেদ প্রমুখ।