বলিউড ‘ভাইজান’ সালমান খান এখন একেবারে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো অবস্থায় রয়েছেন। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লাগাতার হুমকি, বাড়ির সামনে গুলি ছোড়ার ঘটনা এবং বারবার প্রাণনাশের আশঙ্কা—এই সবকিছু মিলিয়ে নিজের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এবার ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় একটি অত্যাধুনিক বুলেটপ্রুফ বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন সালমান খান।
যদিও তার সংগ্রহে আগে থেকেই ছিল একাধিক সুরক্ষিত গাড়ি, তবে সাম্প্রতিক ঘটনার ভয়াবহতা তাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
সবকিছুর সূত্রপাত ১৯৯৮ সালে, রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগে সালমান খানের নাম জড়ানোর পর থেকেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের একাংশ তাকে ‘টার্গেট’ করে। সময় গড়িয়েছে, কিন্তু হুমকি থামেনি। বরং তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে, সালমানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে বাইকে করে এসে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি ছোড়ে। চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে তারা মুহূর্তেই পালিয়ে যায়। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে নেয় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
এতেই শেষ নয়, ওই বছরের নভেম্বরে মুম্বাই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি আসে সালমান খানকে ঘিরে। এরপরই মুম্বাই পুলিশ গ্যাংটির ১৮ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সালমানের জন্য এখন ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বান্দ্রার বাড়িও পুনর্গঠন করা হয়েছে নিরাপত্তা মাথায় রেখে—প্রতিটি জানালা করা হয়েছে বুলেটপ্রুফ, বসানো হয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির সিসিটিভি, এবং ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি।
তবুও হুমকির ছায়া থেকে মুক্তি নেই। তাই নিজের সুরক্ষার জন্যই এবার ব্যক্তিগত পর্যায়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন সালমান। নতুন বুলেটপ্রুফ গাড়িটি কেবল বিলাসের নয়, এটি এখন তার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ঢাল।
বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত তারকাদের একজন হয়েও সালমান এখন এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। আর তাই সিনেমার পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও নিজেকে রক্ষায় নিচ্ছেন সব রকম প্রস্তুতি।