বিনোদন

বিগ বাজেটে সুপার ফ্লপ | কালবেলা

বিগ বাজেটে সুপার ফ্লপ | কালবেলা


কথায় আছে—যত গর্জে তত বর্ষে না। মাঝেমধ্যে এমন হাল হয় বলিউডসহ অন্যান্য সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেক হৈচৈ, ঢাকঢোল পিটিয়ে, আর অঢেল টাকা ঢেলেও সফলতার দেখা পায় না অনেক সিনেমা। কিছু সময় তো অবস্থা হয় তথৈবচ। শুটিং শুরু থেকে মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত কিছু ছবি নিয়ে মিডিয়া এমন সরগরম থাকে, যেন পর্দায় হাজির হলেই ধুম পড়ে যাবে। দর্শকের আগ্রহও থাকে তুঙ্গে। কিন্তু পর্দায় আসার পর দেখা যায় বিপরীত চিত্র। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এরকম কিছু সিনেমা নিয়েই এবারের আয়োজন। লিখেছেন, মাজেদ হোসেন টুটুল।

কিসি কা ভাই কিসি কা জান

ঈদে বলিউড ভাইজান সালমানের সিনেমা মানেই দারুণ ব্যবসা। ইন্ডাস্ট্রিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শতকোটি রুপি আয়ের সিনেমা উপহার দিয়েছেন সালমান খান। তবে ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ফরহাদ সামজি পরিচালিত ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’ হতাশ করেছে দর্শকমহলকে। ২৮২ কোটি রুপি খরচ করেও বক্স অফিসে টেনেটুনে আয় করতে পেরেছে মাত্র ১২৫ কোটি রুপি। সালমানের সিনেমা হিসেবে এ অঙ্কটি বড়ই বেমানান।

ইন্ডিয়ান ২

১৯৯৬ সালে কমল হাসানের ‘ইন্ডিয়ান’ দর্শক আর ক্রিটিকস সবাইকেই মুগ্ধ করে। সেই ছবি মেজর হিট হয় বক্স অফিসে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২৪ সালে মুক্তি পায় ছবির সিক্যুয়েল ‘ইন্ডিয়ান ২’। ছবির বাজেট ছিল ২৫০ কোটি রুপি। এস শঙ্কর পরিচালিত ‘ইন্ডিয়ান ২’ ঘিরে দক্ষিণী বিনোদন জগতের পাশাপাশি হিন্দি ছবির দর্শকদদের মধ্যেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে হতাশ করেন কমল হাসান। গ্লোবালি ছবির আয় হয় মাত্র ১৫০ কোটি রুপির মতো। দর্শক আগ্রহ থাকার পরও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে সিনেমাটি।

জিগরা

একের পর এক হিট ছবি দিয়ে নেতৃত্বের আসনের সঙ্গে বক্স অফিসে রাজ করছিলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। কিন্তু ‘জিগরা’র ভরাডুবি তাকে আকাশ থেকে নামিয়ে আনল মাটিতে। নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ‘ফেক কালেকশন’ দেখানোর মতো অভিযোগও উঠেছিল সেসময়। ভাসান বালা পরিচালিত ছবির বাজেট ছিল ১৪০ কোটি রুপি। করণ জোহর ও আলিয়ার প্রোডাকশন হাউস নির্মিত সিনেমাটি সব মিলিয়ে ঘরে তুলতে পারে ১০ কোটির মতো। এই ডিজাস্টার শুধু বলিউডের নয়, আলিয়া ভাটের জন্য সতর্কসংকেত।

আদিপুরুষ

বহুল জনপ্রিয় সনাতন ধর্মের প্রেম ও জীবনের গল্প রামায়ণের ওপর নির্মিত এই সিনেমাটি বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম বিগ বাজেটের সিনেমা। এটি বক্স অফিসে ৩৯২ কোটি রুপি আয় করেছে। আয়ের অঙ্ক দেখতে বড় হলেও সিনেমাটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৭০০ কোটি রুপির বেশি। মুক্তির পর কিছুদিনের মধ্যেই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রভাস, সাইফ আলি খান ও কৃতি সেননের এই মুভি। ব্যবসা সফল না হওয়ার পেছনে এর দুর্বল ভিএফএক্স ও গল্পের ধারা বর্ণনাকে দায়ী করা হয়।

কাঙ্গুভা

‘জয় ভিম’ খ্যাত অভিনেতা সুরিয়ার কাঙ্গুভা নিয়ে শুরু থেকেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ উঁচুতে। ছবিটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৩৫০ কোটি রুপি। ছবিতে সুরিয়ার বিপরীতে ছিলেন অ্যানিমেল ভিলেন ববি দেওল। সিনেমার সেট, লুক সব দেখে মনে হয়েছিল, কাঙ্গুভা ঝড় তুলবে বক্স অফিসে। কিন্তু ছবি মুক্তির পর দর্শকরা ধাক্কা খান সিনেমাটি দেখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যায় নেতিবাচক রিভিউ। কমতে থাকে দর্শক সংখ্যা। সর্বসাকল্যে বিশ্বব্যাপী কাঙ্গুভার আয় হয় ১১০ কোটি রুপি।

বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা

দুই অ্যাকশন হিরো অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। তাদের অ্যাকশন উপভোগের অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। আলি আব্বাস জাফরের অ্যাকশন ঘরানার ছবিটি ঘিরে প্রত্যাশা ছিল অনেক। ৩৫০ কোটি রুপির বাজেটে তৈরি এই ছবি মুক্তির পর তুলতে পেরেছে মাত্র ৬০ কোটি রুপি। দুর্বল চিত্রনাট্য, জগাখিচুড়ি দৃশ্য আর তারকাদের খারাপ অভিনয়কে ছবির ফ্লপ হওয়ার কারণ বলে মনে করেছেন সমালোচকরা।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।