অভিনেতা সোহেল খান। ছোট পর্দা ও বড় পর্দায় অভিনয় করেছেন তিনি। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমায় তাকে দেখা গিয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে, যা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। লিখেছেন তৌফিক মেসবাহ—
বর্তমানে কোন কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
সালাউদ্দীন লাভলু ভাইয়ের ‘ফুলগ্রাম’ করলাম। ৩-৪টা সিরিয়াল চলছে। কচি খন্দকারের ‘তেল ছাড়া পরোটা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। মূলত নাটকই বেশি করি। আসলে এত নাটক যে, আমার নামও মনে থাকে না।
‘জংলি’ সিনেমা কেমন লেগেছে? কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
আমার মনে হয়েছে ‘জংলি’ ভালো করবে। ছবিটি নির্মাণে আড়াই কোটি টাকার ওপরে খরচ হয়েছে। নাচ, গান, অ্যাকশন সবকিছুই আছে এতে। আমি যতটুকু কাজ করেছি, আমার জায়গা থেকে সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শুটিংয়ে দেখেছি সিয়াম, বুবলী যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
আপনার দৃষ্টিতে ঈদের কোন সিনেমা এগিয়ে?
ঈদে যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে সবই ব্যাবসা সফল ছবি। ‘বরবাদ’ ভালো করছে। ‘দাগি’ও ভালো যাচ্ছে। আশা করি ‘জংলি’ও ভালো করবে। ঈদের সময় বেশি সিনেমা হলে বেশি প্রতিযোগিতা থাকে। সেক্ষেত্রে নির্মাতারাও ভালো মানের কাজ করতে চেষ্টা করেন।
দর্শকদের জন্য কেমন সিনেমা প্রত্যাশা করেন?
আমরা চাই ভালো কাজ করে দর্শকদের আনন্দ দিতে। যেন দর্শকরা পরিবারসহ এসে সিনেমা দেখতে পারেন। প্রত্যেক অভিনেতা তাই চায়। এখন যেসব ছবি আসবে সবই পরিবার নিয়ে দেখার ছবি। কারণ আগের দিন আর নেই। আপনারা বাবা, মা, ভাই, বোন নিয়ে সিনেমা দেখতে পারবেন। আর ছবির বাজার দিন দিন ভালোই হবে। যদিও আমাদের দেশটা ছোট। ছবির বাজারও তাই খুব ছোট। ভারতের কোনো না কোনো প্রদেশে ছবি চললেই টাকা উঠে যায়। আর আমাদের দেশে সে সুযোগ না থাকায় প্রযোজকরা ভেবেচিন্তে লগ্নি করেন। ছবির পরিমাণ বেশি হলে ভালো ছবির পরিমাণও বেশি হতো।
সিনেমা হল রক্ষায় ও সংখ্যা বাড়াতে কী করণীয়?
সিনেমা হল রক্ষায় ও বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন বড় বড় মার্কেটের টপ ফ্লোরে ১৫০ থেকে ২০০ আসনবিশিষ্ট একটি করে হল করা যায়। চোখের সামনে অসংখ্য হল বন্ধ হয়ে গেল। সরকার এগিয়ে না এলে এটি সম্ভব নয়। আমারও ইচ্ছে আছে যে মফস্বল শহরে যেখানে সংস্কৃতি চর্চা হয় সেখানে আমি একটি হল করব। কারণ, আমি তো এ লাইনের লোক। এটা ছাড়া তো আমি যোগ-বিয়োগ কিছু শিখিনি।