বিনোদন

‘সবার উপরে ভাত’র কোটি ভিউজ উদযাপন

‘সবার উপরে ভাত’র কোটি ভিউজ উদযাপন


বাঙালির ভাতপ্রেম আর তার চারপাশের হাস্যরস কেন্দ্র করে এসএমসি নিবেদিত কালবেলা ড্রামার তৃতীয় নাটক ‘সবার উপরে ভাত’ ইউটিউবে খুব অল্প সময়ে এক কোটি ভিউজ অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ অর্জন উদযাপন করতে নাটকের নির্মাতা মাইদুল রাকিব উপস্থিত হন রাজধানীর নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত দৈনিক কালবেলা পত্রিকার কার্যালয়ে। সেখানে কেক কাটা হয় আর আনন্দঘন পরিবেশে পুরো টিম একত্রিত হয়ে এ সাফল্য উদযাপন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, উপসম্পাদক দীপঙ্কর লাহিড়ী, বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন) পলাশ মাহমুদ, চিফ রিপোর্টার জাকির হোসেন লিটন, বিনোদন ইনচার্জ এ এইচ মুরাদসহ কর্মকর্তারা। কেক কাটার আগে মাইক্রোফোন তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা মাইদুল রাকিবকে, যিনি জানান, গত বছর তিনি সন্তানের বাবা হয়েছেন। তার শেষ কাজটিই ছিল এই নাটক এবং তিনি স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সন্তান আগমনের আগে নতুন কোনো প্রকল্প হাতে নেবেন না। সে কারণেই এ নাটকটি ছিল তার কাছে বিশেষ প্রিয়, তাই সেটি শেষ করার চেষ্টা করেছেন নিজস্ব নিষ্ঠা ও আবেগ দিয়ে।

মাইদুল রাকিব বলেন, ‘আমি গল্পটি আগে রেখে দিয়েছিলাম, কারণ এটি আমার নিজের। আমি নিজে ভাত খুব পছন্দ করি। ভালো প্ল্যাটফর্মের অভাবে এতদিন এটি বাস্তবায়িত হয়নি। যখন শুনলাম কালবেলা নাটক নিয়ে কাজ শুরু করেছে, তখনই গল্পটি হাতে নিলাম। দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই আনন্দদায়ক।’

এরপর কথা বলেন পলাশ মাহমুদ। তিনি টিমের প্রশংসা করে বলেন, “যখন আমরা সম্পাদক সন্তোষ দাদাকে বললাম ‘কালবেলা ড্রামা’ শুরু করতে চাই, তিনি এক কথায় সম্মতি জানালেন। তারপরই যাত্রা শুরু হলো। মাঝে কিছুটা বিরতিও ছিল। আমরা এখন দশ মিলিয়ন ভিউ উদযাপন করছি, আশা করি পরের কেকটা হবে দশ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের জন্য।”

নাটকটি মূলত বাঙালির খাবারের চিরন্তন ভালোবাসা, ভাতকে কেন্দ্র করে তৈরি হাস্যরস এবং সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে নির্মিত। নায়ক নিলয় আলমগীর এবং নায়িকা জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি অভিনীত নাটকটি মুক্তির মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র ওবায়দুল একজন অকৃত্রিম ভাতপ্রেমী। প্রেমিকা তাকে ‘ভাতের নেশা’ থেকে মুক্ত করতে চাইলেও হাস্যরসের মাধ্যমে গল্পে সৃষ্টি হয় মজার পরিস্থিতি ও পারিবারিক টানাপোড়েন।

‘সবার উপরে ভাত’ শুধু খাদ্য নয়, এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয়, পারিবারিক অভ্যাস ও সামাজিক মর্যাদার প্রতীক। নাটকটি দেখিয়ে দিয়েছে যে, যুগের পরিবর্তন, ফাস্টফুড বা নতুন রেসিপি আসুক না কেন—ভাতের স্থান বাঙালির পাতে চিরকালই ‘সবার উপরে’।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।