বিশ্ব

আরও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা ইরানের

আরও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা ইরানের


মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ ভয়ংকর হচ্ছে যুদ্ধের ঝনঝনানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উত্তেজনা শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ, ইরান চাইছে পার্শ্বর্বর্তী দেশের প্রতিরোধ বাহিনীকে ব্যবহার করে নতুন হামলার ধারা অব্যাহত রাখতে।

ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও অপরাপর মিলিশিয়ারা এই পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্র, যেটি ঘনিষ্ঠভাবেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। অপর দিকে, ইসরায়েল যে বিমান ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছে, তার বেশির ভাগই এসেছে মার্কিন উৎস থেকে।

মার্কিন বিশ্লেষক রিচার্ড লে’বেরন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র না চাইলেও এই সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে।’ অপর দিকে, বিশেষ সূত্র বলছে যে, নতুন হামলায় পার্শ্বর্বর্তী দেশের যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে।

শুক্রবার রাতে ইরানের ইসলামী বিপ্লব গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের অধিকৃত এলাকায় একাধিক ধাপে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর আগে ইসরায়েল তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক নাগরিক, সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছিল।

গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় ইরান উচ্চ সফলতা অর্জন করেছে।

ইসলামিক বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

আইআরজিসি জানায়, তারা ইসরায়েলের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি, গুপ্তচর ভিত্তি এবং অস্ত্র কারখানায় সঠিক লক্ষ্যভেদে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। স্যাটেলাইট ছবি ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, অনেক কৌশলগত স্থান সফলভাবে ধ্বংস হয়েছে, যদিও ইসরায়েল দাবি করে আঘাত ঠেকানো হয়েছে।

ইসরায়েলি নাগরিকদের ক্যামেরায় তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে। হাইফা বন্দরকেও আঘাত করা হয়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের প্রতিরোধ বাহিনীর মাধ্যমে নতুন হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও ন্যাটো ইসরায়েলের পাশে থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি।

এ হামলার সময় ইসলামিক বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিই ঘোষণা দেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ করে তুলবে। তিনি বলেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বাহিনী শয়তান শত্রুকে একটি বড় ধাক্কা দেবে।’





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।