একদিকে শান্তির বার্তা, অন্যদিকে যুদ্ধের তোড়জোড়- এই দুই পথেই এগোচ্ছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি আলোচনার কথা বলছেন, বন্দি বিনিময় করছেন, এমনকি একটি শান্তির রোডম্যাপও দিয়েছেন।
কিন্তু ইউক্রেন বলছে, এসব কেবল ভাঁওতা। রাশিয়া প্রকৃতপক্ষে আরও ভয়ংকর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শান্তির নামে আসলে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চাওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (০৬ জুন) সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও রাশিয়া তা মানেনি, বরং হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। নতুন ফ্রন্ট খুলে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে সীমান্তে। ইউক্রেন বলছে, বড় আক্রমণের প্রস্তুতির অনেক প্রমাণ আছে।
গত মে মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের অনেক এলাকা দখল করেছে, যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ। এখন রাশিয়ার লক্ষ্য মূলত ডনবাস অঞ্চল।
বিশেষ করে কোস্তিয়ানতিনিভকা শহর রাশিয়ার টার্গেটে আছে, যা দখল হলে ইউক্রেনের জন্য রসদ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়বে।
রাশিয়া এখন ছোট ছোট দল দিয়ে আক্রমণ চালায়, বড় ট্যাঙ্ক অভিযান প্রায় নেই। ড্রোন প্রযুক্তিতেও রাশিয়া অনেক এগিয়েছে- তারা প্রতিদিন ১০০টির বেশি ড্রোন তৈরি করছে।
এই যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের নয়, প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও মানুষের মনোবলের যুদ্ধ। রাশিয়া সেনাবাহিনীতে লোক নিচ্ছে বড় বেতন দিয়ে, কিন্তু যুদ্ধের খরচে তাদের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাময়িকভাবে রাশিয়া এগিয়ে থাকলেও, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে চাপ তাদের ওপরই বেশি পড়বে।