বিশ্ব

ইরানের পাল্টা হামলা, ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন ৫৩ হাজার ইসরায়েলি

ইরানের পাল্টা হামলা, ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন ৫৩ হাজার ইসরায়েলি


ইসরায়েল সবসময় দুর্বল দেশগুলোতে হামলা চালিয়ে সুবিধা পেয়ে এসেছে। কিন্তু ইরানে হামলা ছিল ব্যতিক্রম, এই হামলা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে এসেছে। তেহরানে আক্রমণের পর দেশটি বুঝেছে, কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি তারা। আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বে ইরান ইসরায়েলকে কোনোরকম ছাড় দেয়নি। এতে নড়েচড়ে বসেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইরানের পাল্টা হামলায় যখন বিপর্যস্ত তেলআবিব, তখন পিঠ বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চান নেতানিয়াহু। এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রও এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। তবে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতেও বাধ্য হয় তারা।

এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইসরায়েলের শাসকদের উপহাস করে বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে ইসরায়েলকে তাদের পিতা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ১২ দিনের ভয়াবহ এই সংঘাতে কোমর ভেঙে গেছে ইসরায়েলের অর্থনীতির। যুদ্ধের শুরুতে ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার না করলেও ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পাচ্ছে। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে দেশটি কয়েক বিলিয়ন শেকেলের ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইসরায়েল ট্যাক্স অথরিটির মহাপরিচালক শাই আহারোনোভিচ জানান, ক্ষতির পরিমাণ ‘কল্পনাতীত’।

ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-র আওতায় তেলআবিবসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী কিছু হামলা প্রতিহত করতে পেরেছে, তবুও বহু ভবন ধ্বংস এবং সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি হলো ইরান ইসরায়েলের দুটি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

যুদ্ধের পর ট্যাক্স অথরিটির কাছে রেকর্ড ৫৩,৫৯৯টি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়ে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী সরাসরি ক্ষতি প্রায় ৪ বিলিয়ন নিউ ইসরায়েলি শেকেল (১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা এবং অন্যান্য পরোক্ষ ক্ষতি মিলিয়ে তা কয়েক বিলিয়ন শেকেল ছাড়িয়ে গেছে।

সামরিকভাবে ইসরায়েলের দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী গোপন অভিযানে মোসাদের দুই সদস্যকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে ২০০ কেজি বিস্ফোরক এবং ২৩টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে।

শাই আহারোনোভিচ আরও জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, যা মোসাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এছাড়া ইরানের পাল্টা হামলার ফলে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময়ের জন্য অচল হয়ে পড়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।