বিশ্ব

ইসরায়েলকে ‘ত্যাগ’ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইসরায়েলকে ‘ত্যাগ’ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!



গাজায় ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিতে ইসরায়েলি হামলা জোরদার করার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ তেল-আবিবের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের চিন্তা করছে—এমনটাই দাবি করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধ দ্রুত শেষ না হলে, যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে না।

আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ‘ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে পরিত্যাগ করবে।’

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান গাজায় সংঘাতের দ্রুত অবসান ঘটুক। 

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ না হওয়াকে ঘিরেও নানা গুঞ্জন দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদনে উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্কে সম্ভাব্য টানাপড়েনের বিষয়টি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এ দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, দুপক্ষের মাঝে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে ইসরায়েলকে ‘পরিত্যাগ’ করার ধারণা একেবারেই হাস্যকর। 

ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি ওয়াইনেট নিউজকে বলেন, ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন ভিত্তিহীন। প্রেসিডেন্ট যা বলছেন, সেটাই সত্য—অজ্ঞাত উৎসের তথ্যে ভরসা করা ঠিক নয়। 

এদিকে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় বহু মানুষ অনাহারে রয়েছে। পাশাপাশি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডার নেতারা ইসরায়েলের নির্মম আচরণের নিন্দা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন—ফিলিস্তিনে সামরিক আগ্রাসন বন্ধ না হলে তারা যৌথভাবে ব্যবস্থা নেবে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেই এক ভিডিও বার্তায় গাজার ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। 
 



Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।