বিশ্ব

কাতারে ইরানের হামলা প্রতিশোধের সূচনা মাত্র

কাতারে ইরানের হামলা প্রতিশোধের সূচনা মাত্র


পারস্য উপসাগরে অবস্থিত কাতারের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে সোমবার (২৩ জুন) বিকালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে বিশ্লেষকরা তেহরানের প্রতিশোধ নেওয়ার সূচনা হিসেবে দেখছেন। আল-জাজিরা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।

ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে তাদের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাবেই এই পাল্টা আঘাত হেনেছে তেহরান। তবে এই প্রতিক্রিয়া কতটুকু বিস্তৃত হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এটি এককালীন হামলা, নাকি আরও বড় ধরনের সামরিক উত্তেজনার ইঙ্গিত- সেই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা হতে পারে এমন এক অজুহাত, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে বা পরোক্ষভাবে নতুন করে যুদ্ধাবস্থায় জড়াতে পারে।

কিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন, এই হামলা হয়তো সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আগেই বিষয়টি জানানো হয়েছিল। অনেকটা ২০২০ সালের মতো, যখন ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর তেহরান প্রতিশোধ নেয়, কিন্তু মার্কিন ঘাঁটির সেনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল।

এমনকি সম্প্রতি ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার ক্ষেত্রেও ইরান পূর্বাভাস পেয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এসব অনুমান এখনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দাঁড়ায়নি।

এই হামলার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি কীভাবে এগোবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এতটুকু স্পষ্ট, এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এক নতুন ও অনিশ্চিত মোড়ে প্রবেশ করেছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে, এটি একেবারেই অভূতপূর্ব ঘটনা।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।