কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) ওই হামলাকে ‘ইসরায়েলিদের নৃশংস আগ্রাসন’ বলে বর্ণনা করেছে রিয়াদ। খবর আরব নিউজ
এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘের সদন বিরোধী। এই হামলার ফলে এ অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে সতর্ক করেছে সৌদি। এ ছাড়া দেশটি ইসরায়েলের এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতি নিয়েও সতর্ক করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সহিংসতা বন্ধ এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। কাতারের আমি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কথা হয়েছে। এতে তিনি কাতারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
তিনি কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করার জন্য ‘সকল ক্ষমতা’ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর কাছ থেকে একটি ফোন কল পান। সেখানে দুই নেতা দোহার ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলা এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া কাতাদের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব আমিরাতও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এ হামলাকে কাতারের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট এবং কাপুরুষোচিত’ লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
মিশর বলেছে, এ হামলার ফলে এ অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে এবং সংকট সমাধানে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে। এ ছাড়া এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল এবং বিশ্ব মুসলিম লিগ।