ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এক যুবকের সাহসিকতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। হামলার সময় ঝুঁকি জেনেও সাহসী পদক্ষেপের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এক যুবক।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় এক ব্যক্তি গুলির শব্দের মধ্যে একজন কিশোরকে পিঠে তুলে নিয়ে বাইসারান উপত্যকা থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। তবে নেটিজেনরা একে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে অনেকেই এই যুবকের সাহসিকতাকে ‘নায়কোচিত’ ও ‘মানবিকতার প্রকৃত উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
একজন ব্যবহারকারী লেখেন, আমরা আমাদের অতিথিদের পাশে ছিলাম, আছি, এবং থাকবো- যাই ঘটুক না কেন। আরেকজন লেখেন, কাশ্মীরি ঘোড়াচালক একটি আহত ছেলেকে নিজের পিঠে করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বিভীষিকাময় মুহূর্তে মানবতা ও সহানুভূতির এমন নিখাদ উদাহরণ অন্ধকারের মাঝেও আলো দেখায়।
Kashmiri ponywala carries a wounded boy on his again. Amidst the chaos and cruelty, this second of uncooked humanity and compassion shines by means of the darkness. His power is silent, his coronary heart heavy, carrying not simply the kid, however the weight of a whole tragedy#PahalgamTerroristAt pic.twitter.com/vpbJaBRbLi
— Dr Nissar Paul (@paulnissar) April 23, 2025
ভিডিওতে আহত কিশোরটিকে আতঙ্কিত অবস্থায় স্থানীয় যুবকের গায়ে আঁকড়ে থাকতে দেখা যায়, যখন তিনি দৌড়ে নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটছেন। এই সাহসিকতাকে অনেকেই কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ‘কাশ্মীরিয়তের’ প্রতীক হিসেবে দেখছেন। ‘কাশ্মীরিয়ত’ শব্দটি কাশ্মীরি সংস্কৃতির সেই মূল্যবোধকে বোঝায়, যেখানে অতিথি সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি নিরাপত্তা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত পাকিস্তানকে ‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার’ জন্য দায়ী করেছে।