বিশ্ব

কেউই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক চায় না: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী

কেউই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক চায় না: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী


লেবাননের কেউই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন চায় না বলে জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম। খবর তেহরান টাইমসের

তিনি জানান, ইসরায়েলি বাহিনী এখনো লেবাননের পাঁচটি সীমান্ত এলাকায় দখল করে রেখেছে। গত বছর তারা হিজবুল্লাহর হুমকি মোকাবিলার অজুহাতে দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছিল।

নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তারা এখনো দখলকৃত এলাকাগুলো ধরে রেখেছে। সালাম বলেছেন, এসব এলাকার কোনো সামরিক বা নিরাপত্তাগত গুরুত্ব নেই, বরং এটি ইসরায়েলের লেবাননের ওপর চাপ বজায় রাখার কৌশল।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে বারবার হামলা চালাচ্ছে। লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, গত বছর ইসরায়েলি হামলায় দেশটিতে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দাবি, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সহায়তায় ইসরায়েল লেবাননের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। তবে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি বলেন, ইসরায়েল আমাদের রাজনৈতিক আলোচনায় টেনে নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, কিন্তু এটি আমাদের জন্য একদমই গ্রহণযোগ্য নয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জ্যাঁ-ইভ লে দ্রিয়ান এই সপ্তাহে বৈরুতে পৌঁছেছেন। তিনি লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী সালামের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল লেবাননের যুদ্ধবিধ্বস্ত অংশগুলোর পুনর্গঠন।

গত অক্টোবরে প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে লেবাননের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তার জন্য ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে, লেবাননের পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তত ১১ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ফ্রান্স আগামী মাসগুলোতে আরও তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা চালাবে।

এ সপ্তাহের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট আউন ফ্রান্স সফরে যাবেন। জানুয়ারিতে লেবাননের নতুন সরকার গঠনের পর ফ্রান্স এই পরিবর্তনকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৈরুতে এসেছিলেন।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।