বিশ্ব

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব, চলছে পর্যালোচনা

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব, চলছে পর্যালোচনা


গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার যৌথভাবে এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের কাছে পাঠিয়েছে। এখন গোষ্ঠীটি এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে।

মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল) ইজিপ্ট টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসর ও কাতার যৌথভাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠিয়েছে। কায়রোভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল কাহেরা নিউজ সূত্রে জানা গেছে, মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

একটি টেলিগ্রাম বার্তায় হামাস (ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্ট) জানায়, তারা প্রস্তাবটি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। প্রয়োজনীয় আলোচনা শেষে দ্রুত এর জবাব দেবে তারা।

হামাসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তারা তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, যে কোনো ভবিষ্যৎ চুক্তির মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় চুক্তি, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনের কার্যকর প্রক্রিয়া এবং গাজা থেকে অন্যায় অবরোধ প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে হবে।

আল আরাবিয়া নেটকে ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল তাদের নতুন প্রস্তাবে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের শর্ত দিয়েছে যুদ্ধবিরতির জন্য। তবে হামাসের একজন নেতার বরাতে জানা গেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের শর্তে তারা সব ইসরায়েলি বন্দিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।

আন্দোলনের শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল গত শনিবার কায়রোতে পৌঁছায়। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মিসরীয় ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলআত্তি জানিয়েছেন, তাদের সাম্প্রতিক প্রস্তাব গাজার পরিস্থিতি শান্ত করতে, মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে এবং বন্দি-বিনিময় প্রক্রিয়া চালু করতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রস্তাব সব পক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং ইতিবাচক আলোচনাও চলছে। তবে আজ যে প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেটি ইসরায়েলই মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পাঠিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ জন।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।