বিশ্ব

ছেলের বন্ধুকে বিয়ে করলেন ৫০ বছরের নারী, দিলেন সুসংবাদ

ছেলের বন্ধুকে বিয়ে করলেন ৫০ বছরের নারী, দিলেন সুসংবাদ


নিজের ছেলের সহপাঠী তরুণকে বিয়ে করেন ৫০ বছরের এক নারী। এরপরই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন গর্ভধারণের সুসংবাদ। ‘সিস্টার জিন’ নামে পরিচিত এই নারী নিজের প্রেম, বিয়ে ও মা হওয়ার খবর প্রকাশ করে একদিকে যেমন নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন, অন্যদিকে তেমনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

ডাউইন (চীনা টিকটকের স্থানীয় সংস্করণ) প্ল্যাটফর্মে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। সেখানে তিনি নিজের বিলাসবহুল জীবনের নানা ঝলক তুলে ধরেন- যেখানে রয়েছে ব্যক্তিগত ভিলা, রান্নার লোক এবং ড্রাইভারও।

জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদের পর একাই সন্তানদের বড় করেছেন সিস্টার জিন। তবে ভাগ্যের বাঁকে আবারও প্রেমে পড়েন তিনি, তাও নিজের ছেলের রুশ বন্ধুর সঙ্গে।

প্রেমের এই ব্যতিক্রমী গল্প শুরু হয় ছয় বছর আগে, যখন সিস্টার জিনের ছেলে কাইকাই লুনার নিউ ইয়ার উপলক্ষে তিনজন বিদেশি বন্ধুকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। সেই দলে ছিলেন দেফু নামের এক রুশ তরুণ, যিনি চীনাদের মতোই সাবলীল ভাষায় কথা বলেন। সিস্টার জিনের রান্না ও অতিথিপরায়ণতায় মুগ্ধ হয়ে প্রথমে এক রাতের জন্য আসা দেফু পুরো সপ্তাহই থেকে যান।

দেফু এরপর নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, উপহার পাঠাতেন, নানা চমক দিতেন। শুরুতে বয়সের বিশ বছরের ব্যবধান ও সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কথা ভেবে সিস্টার জিন তাকে প্রত্যাখ্যান করলেও পরে ছেলের সমর্থন পেয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টান।

চলতি বছরের শুরুতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর চীনের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছেন, ক্যান্তনিজ খাবার উপভোগ করেছেন, এমনকি কিংবদন্তি মার্শাল আর্ট বীর ওয়ং ফেই-হাংয়ের শহরও ঘুরে দেখেছেন।

সবচেয়ে চমকপ্রদ খবরটি আসে ৮ জুন, যখন সিস্টার জিন জানান তিনি মা হতে চলেছেন। বয়সজনিত ঝুঁকি থাকলেও দেফুর সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যবান বলেই মনে করেন তিনি। আগামী বসন্তে তাদের সন্তান জন্ম নেবে বলে জানা গেছে এবং এরই মধ্যে নবজাতকের জন্য খাটও কিনে ফেলেছেন তারা।

তাদের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক চলছে। কেউ বলছেন, ‘এটা নিছক মনোযোগ পাওয়ার জন্য বানানো এক চিত্রনাট্য। সবকিছুই যেন খুব নিখুঁতভাবে সাজানো।’ কেউবা আবার কটাক্ষ করে বলেন, ‘সে কি এখন রাশিয়ায় চলে যাবে দেফুর সঙ্গে? ছেলের বন্ধুর মায়ের বয়স তো তার শ্বশুর-শাশুড়ির সমান!’

সব সমালোচনার জবাবে সিস্টার জিন বলেন, ‘সময় আমাদের ভালোবাসার প্রমাণ দেবে।’ তিনি নিজের প্রি-নেটাল চেকআপ রিপোর্টও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে।

এই ব্যতিক্রমী ভালোবাসার গল্প এখন চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত ইস্যুগুলোর একটি।

সূত্র : এনডিটিভি





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।