থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে নতুন করে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালেও গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের ব্যবহারের খবর জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী। তারা জানায়, কম্বোডিয়া বিএম-২১ রকেটসহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালিয়েছে, এর জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে থাই বাহিনী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সীমান্তে উভয় পক্ষের গোলাবর্ষণে অন্তত ১১ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর থাইল্যান্ড ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে, যার মধ্যে একটি কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানে বোমা হামলা চালায়।
এই সশস্ত্র সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে। উভয় দেশই সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরুর জন্য একে অন্যকে দায়ী করেছে। প্রথমে হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু হলেও পরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্তত ছয়টি স্থানে এবং ব্যবহার হয় ভারী গোলাবারুদ।
থাইল্যান্ড জানায়, বৃহস্পতিবারের হামলায় তাদের তিনটি প্রদেশে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন। কম্বোডিয়ার হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা প্রস্তুত, তবে আত্মরক্ষার্থে প্রতিক্রিয়া জানানো আমাদের বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি পাকিস্তানকে পাঠানো এক চিঠিতে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘অভিযোগহীন ও পূর্বপরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের’ অভিযোগ এনেছেন। একই সঙ্গে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে দাবি করেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানান।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী থাই গ্রামগুলোর বাসিন্দারা বালুর বস্তা ও টায়ারে ঘেরা বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে স্কুল, বাজার ও সড়ক যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
সূত্র : রয়টার্স