বিশ্ব

ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ, টেনে তোলার কেউ নেই

ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ, টেনে তোলার কেউ নেই


আফগানিস্তানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

কিন্তু ভূমিকম্পের পর তিনদিন পার হলেও এমন বহু এলাকা রয়েছে, যেখানে এখনো উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকেই চাপা পড়ে আছেন। তাদের টেনে তোলার মানুষ নেই।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

২৬ বছর বয়সী ওবায়দুল্লাহ স্টোম্যান জানান, তিনি তার এক বন্ধুর খোঁজে এখন কুনার প্রদেশের ওয়াদির গ্রামে আছেন। সেখানে ধ্বংসস্তূপের মাত্রা দেখে তিনি অভিভূত হয়ে গেছেন।

ওয়ায়দুল্লাহর ভাষ্য, ‘আমি এখানে আমার বন্ধুকে খুঁজছি, কিন্তু এখনো তাকে পাইনি। এখানকার পরিস্থিতি দেখা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। (বাড়িঘর) সব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’

কুনার প্রদেশের নুরগাল জেলার চৌদ্দ বছর বয়সী আখলাক ভূমিকম্পে আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি। ভূমিকম্পে তার পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন।

কিশোর আখলাক বলছিল, ‘আমাদের পুরো বাড়িটি ধসে পড়ে। আমার ভাই এবং বাবা সবাই চাপা পড়েছিলেন। কেবল আমি বেঁচে গিয়েছিলাম এবং বেরিয়ে এসেছিলাম। তারপর আমি আমার বাবার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই এবং তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’

এই কিশোর জানায়, ‘আমার পরিবারের কিছু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে, কিন্তু তাদের সাহায্য করার এবং তাদের টেনে বের করার কেউ নেই।’

স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জালালাবাদ থেকে ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর আরও অন্তত ৩টি আফটারশক হয়। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২-এর মধ্যে।

মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এপির প্রতিবেদন মতে, ভূমিকম্পে কুনার প্রদেশের বেশ কয়েকটি কার্যত গ্রাম মানচিত্র থেকে মুছে গেছে। সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ১২৪ জন। ৫ হাজার ৪০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।