আবারও বিপদে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান। এবার বিমানবন্দরে পাখির ধাক্কা লাগার পর বেঙ্গালুরুগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। একজন বিমান কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রানওয়েতে উড্ডয়নের প্রস্তুতির সময় একটি ঈগল বিমানের নাকে আঘাত করে। ফলস্বরূপ, বিমান সংস্থাকে ফ্লাইট বাতিল এবং ৯০ জন যাত্রীর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উড্ডয়নের ঠিক আগে পাখির ধাক্কার ঘটনাটি ঘটে। রানওয়েতে ট্যাক্সি করার সময় বিমানটি আক্রান্ত হয়।
পরে এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বলেছে, বিজয়ওয়াড়া-বেঙ্গালুরু ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নির্ধারিত বিমানটি বিজয়ওয়াড়া বিমানবন্দরে সন্দেহজনক পাখির ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। ফলে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। বিমান সংস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরের পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। ক্ষতিগ্রস্ত সব অতিথিকে বিনামূল্যে ফ্লাইট পুনর্নির্ধারণ বা সম্পূর্ণ অর্থ ফেরতসহ বাতিলকরণের বিকল্প সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়ন করে লন্ডনের পথে যাত্রা শুরু করে এআই ১৭১ ফ্লাইট। মাত্র কয়েক মিনিট পর পাইলট ‘মেডে’সংকেত পাঠান। বিমানটি দ্রুত নিচে নেমে এসে মেঘানীনগর এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এটি ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার—যার এই প্রথম সম্পূর্ণ ধ্বংসের ঘটনা ঘটল। বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। সেই ভয়াবহ ঘটনার পর আরও কয়েকবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ে।
এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের জন্য গর্বের প্রতীক হলেও, এর দীর্ঘ ইতিহাসে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির শোকের গল্প। প্রতিটি দুর্ঘটনা মানব ভুলের, কারিগরি ত্রুটির, অথবা সন্ত্রাসী হামলার ফলস্বরূপ, যা বিমান পরিবহনের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এই রক্তাক্ত ইতিহাস কেবল একটি বিমান সংস্থার গল্প নয়, এটি প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, মানব বিপর্যয় এবং সন্ত্রাসের শিকার হওয়া শত শত মানুষের শোকের স্মৃতি বহন করে।