বিশ্ব

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া


খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ব্রিটিশ রাজা চার্লসসহ বিশ্বনেতারা শোক জানিয়েছেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পোপের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘বিশ্রামে থাকুন পোপ ফ্রান্সিস! ঈশ্বর তাকে এবং তাকে ভালোবাসা সবাইকে আশীর্বাদ করুন।’

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। তিনি পোপকে ‘বিশ্বকে আরও ভালো করার একজন নম্র ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন নৈতিক স্পষ্টতার, নম্রতা ও সহানুভূতির প্রতীক।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ তাকে ‘আধুনিক চিন্তাধারার ধারক এবং অস্ট্রেলিয়ান খ্রিস্টানদের স্নেহময় পিতা’ বলে উল্লেখ করেন। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই বলেন, তার সঙ্গে পরিচিত হওয়া আমার জন্য সম্মানের বিষয়। যদিও আমাদের মধ্যে কিছু মতভেদ ছিল, কিন্তু আজ তা তুচ্ছ।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, মানবতার সেবায় তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করুক। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, তিনি ছিলেন ন্যায় ও অন্তর্ভুক্তির প্রতি অটল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট টিনুবু তাকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর’ বলে অভিহিত করেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও পোপের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন মানবতার ও ন্যায়বিচারের এক দৃঢ় রক্ষক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি জানতেন কীভাবে আশা দিতে হয়, প্রার্থনার মাধ্যমে কষ্ট লাঘব করতে হয়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, তিনি ছিলেন দরিদ্র, নিপীড়িত ও বিস্মৃতদের জন্য এক পোপ। আর ব্রিটিশ রাজা চার্লস এক বার্তায় বলেন, আমরা তার সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ বিশেষভাবে মনে রাখব। তার কাজ ও বিশ্বাস বহু মানুষের জীবনে ছাপ রেখে গেছে।

বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টানদের সবচেয়ে সম্মানিত ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা। বেথলেহেমের মেয়র আন্তন সালমান বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের অধিকারের অন্যতম বলিষ্ঠ সমর্থক। শান্তির জন্য তিনি ছুটে এসেছেন।

২০১৪ সালে পবিত্র ভূমিতে পোপের সফরের সময় বেথলেহেম ও জেরুজালেমকে বিভক্ত করা ইসরায়েলি কংক্রিট প্রাচীরের পাশে তার প্রার্থনার ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে। সেদিন তিনি যিশুর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত ন্যটিভিটি চার্চের বাইরে হাজারো খ্রিস্টানদের সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে পবিত্র মিছিলেও নেতৃত্ব দেন।

স্থানীয় দোকানদার রনি তাবাশ বলেন, ‘সে ছিল আমাদের জীবনের এক বিশেষ দিন। আমি তার জন্য গানও গেয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশা দিতেন, বলতেন- থাক, লড়ো, বিশ্বাস রেখো।’

গাজায় আশ্রিত খ্রিস্টানদের খোঁজ নিতেন নিয়মিত
পোপ ফ্রান্সিস নিয়মিত ফোন করে খোঁজ নিতেন গাজা শহরের হলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চে আশ্রয় নেওয়া খ্রিস্টানদের। গাজার চলমান সংঘাত নিয়ে তিনি একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি একটি নাটকীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি।

সর্বশেষ ইস্টারের ভাষণে তিনি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি এবং ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানান।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।