বিশ্ব

বাড়ির সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা

বাড়ির সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা


একই পরিবারের দুই গৃহবধূ ঘটালেন এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড। শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দুজনেই মিলে পালিয়ে যান একই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে। তবে স্বপ্নের ঘর বাঁধার আগেই পুলিশ তাদের পাকড়াও করেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই দুই গৃহবধূকে আটক করেছে। তবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে সেই প্রেমিক।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান ইয়াসিন শেখ এবং তার ভাই আনিসুর শেখের স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে শুরু করলে কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে দুই ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, তাদের স্ত্রীরা স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে পালাননি; বরং প্রতিবেশী যুবক আরিফ মোল্লাই তাদের প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন।

আরিফের স্ত্রীও একই দাবি করেন। তিনি পুলিশের কাছে জানান, তার স্বামীই দুই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন এবং পরিকল্পনা করে তাদের নিয়ে পালিয়েছেন।

পরপর দুটি পরিবার থেকে একই রকম অভিযোগ আসায় পুলিশ দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠে। তদন্তে নেমে তারা ওই দুই নারীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করে। শেষমেশ তাদের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই প্রেমিক আরিফ পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে ইতোমধ্যেই একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।

অবশেষে মঙ্গলবার রাতে দুই গৃহবধূকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বুধবার তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা স্বীকার করেন, একই প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ছোট বউ নাজমা বেগম জানান, তারা চায়ের সঙ্গে বিষ খাইয়ে দেননি। ওগুলো শুধু ঘুমের ওষুধ ছিল। কেন এমনটা করলেন—এমন প্রশ্নে পাশে বসা বড় জা কুলচান দ্বিধাহীন কণ্ঠে জানান, ‘আমরা জানতাম বাড়ির লোকজন আটকাতে চাইবে। তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা করেছিলাম, যেন তারা ঘুমিয়ে পড়েন এবং আমরা পালাতে পারি।’

প্রশ্ন ওঠে—দুজনই কি একই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন? এ বিষয়ে কোনো লুকোছাপা না করে বড় জা কুলচান সাফ উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ, আমরা দুজন একই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিলাম।’

এই অকপট স্বীকারোক্তি শোনার পর পুলিশও বিস্মিত হয়ে যায়। সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় একাধিক পুরুষের নাম উঠে আসে। কিন্তু এখানে দুই নারীর লক্ষ্য একই ব্যক্তি হওয়ায় তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

ঘটনার পর পুরো এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, তারা কখনো ভাবেননি যে একই পরিবারের দুই গৃহবধূ একই পুরুষের প্রেমে পড়বেন এবং এমন ভয়ংকর পরিকল্পনা করবেন। অনেকে আবার বলছেন, এই ঘটনায় সমাজ ও পারিবারিক সম্পর্কের ভাঙন কতটা গভীর হয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই নারীকে আদালতে তোলা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত প্রেমিক আরিফ মোল্লাকে ধরতে সর্বাত্মক অভিযান চলছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।