বিশ্ব

বাসা থেকে সাংবাদিককে অজানা স্থানে নিয়ে গেল দখলদার বাহিনী

বাসা থেকে সাংবাদিককে অজানা স্থানে নিয়ে গেল দখলদার বাহিনী


ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় নাবলুসের পুরাতন শহরে নিজ বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সামের খুওয়াইরাকে ধরে নিয়ে গেছে তারা।

বৃৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসে অভিযান চালায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। এ সময় সামেরের বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ে তারা। খবর আলজাজিরার।

সামের খুওয়াইরা ফিলিস্তিনের সুপরিচিত সাংবাদিক। তিনি কুদস টিভি চ্যানেলে কাজ করা ছাড়াও মিডল ইস্ট আই, আলজাজিরা, আনাদোলু এজেন্সিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে আসছেন। জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়নের খবর সংগ্রহ করে আসছিলেন তিনি। নানা বাধা সত্ত্বেও সেসব বিশ্বকে জানানোর প্রচেষ্টার কারণে তিনি নাবলুসে সমাদৃত।

সামের খুওয়াইরাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও নিশ্চিত করেছে। তারা এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তবে সামেরকে কোথায় নেওয়া হয়েছে বা কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনও অজানা।

একই সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিকটবর্তী বালাতা শরণার্থী শিবিরে অনুপ্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। তারা বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনের বের করে দেয় এবং বেশ কয়েকজনকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়।

ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য নাবলুসের পুরাতন শহরেও হামলা চালিয়েছে। আজাজ মসজিদের সামনে সামরিক যানবাহন মোতায়েন করা হয়েছে এবং গ্রেট সালাহ আল-দীন মসজিদের চারপাশ স্থল বাহিনী ঘিরে রেখেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন শহরের আকাবা পাড়ায় একটি ফিলিস্তিনি বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সেখানে দখলদার আচরণ কেমন ছিল তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

গত মাসে, ইসরায়েলি বাহিনী পুরাতন শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদ তল্লাশি করে এবং লুটপাত চালায়। এ নিয়ে শহরগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছে। এতে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন ৫৫। তাদের অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও অস্ত্রোপচারের মতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সেসব ঘটনায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। ভারী উদ্ধারযন্ত্র না থাকায় অনেকটা অসহায় উদ্ধারকারীরা। ধারণা করা হচ্ছে, আটকেপড়াদের অনেকে নিহত হয়েছেন। বাকিদের দ্রুত উদ্ধার সম্ভব না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।