ফিলিস্তিনের গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল না হতেই দক্ষিণ গাজায় ভয়ংকর শব্দে একের পর এক বোমা বিস্ফোরিত হতে থাকে। এ সময় বোমা ফেলে একটি ভবন সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, খান ইউনিসের খুজা’আ শহরের ওই বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালায়। এতে চোখের পলকে ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তারা কোনো সতর্কতা ছাড়াই বেসামরিকদের অবস্থান নেওয়া বাড়িটি ধ্বংস করে।
চিকিৎসা সূত্র সংবাদ সংস্থাটিকে জানিয়েছে, হতাহতদের ইউরোপীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অপ্রতুল সরঞ্জামের কারণে অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মেঝেতে কাতরাচ্ছেন।
এদিকে রাফাহ উপকূলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে একজন জেলে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে রাফাহের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সৈন্যরা আরও আবাসিক বাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ।
রোববার (১৩ এপ্রিল) উত্তর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা হয়। তখনই সেই হামলার ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসে। ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, রোববার বিকেলে একটি বাড়িতে আঘাত হানা এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে দুই নারীও রয়েছেন।
সুসংবাদ হলো, বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে আলা মানুন নামে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন। তাকে ধসে পড়া কংক্রিটের নিচ থেকে উদ্ধার করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
ধ্বংসস্তূপ থেকে স্ট্রেচারে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে হয়েছিল। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি বেঁচে আছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ১৫৬ জন আহত হয়েছেন। গাজা সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে।