বিশ্ব

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪, আহত দেড় সহস্রাধিক

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪, আহত দেড় সহস্রাধিক


সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবন থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ। গুরুতর আহত অনেককে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাদের কেউ কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন।

শনিবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত ১,৬৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

দেশটির সরকার বলছে, ক্ষয়ক্ষতির এই পরিসংখ্যান নির্দিষ্ট নয়। বিভিন্ন এলাকায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল দেশটির মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭.২ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আফটার শক হয়। ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডো, মান্দালয়, সাইগাইংসহ ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার।

এদিকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়া। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে থাইল্যান্ডেও। ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। চলছে উদ্ধার অভিযান।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) শুক্রবার মধ্যরাতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি অনুমান প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, মডেলিংয়ের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং আরও অনেক বেশিও হতে পারে। জনবহুল এলাকা এবং কাছাকাছি স্থাপনাগুলোর ঝুঁকির কারণে মৃতের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে ধারণা করা হচ্ছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।