বিশ্ব

যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার

যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার


পাকিস্তানে পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ভারতীয় একজন সামরিক কর্মকর্তা। ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার দায়ভার দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাঁধে চাপিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়্যার রোববার (২৯ জুন) একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সংযুক্ত কর্মকর্তা (ডিফেন্স অ্যাটাশে) ক্যাপ্টেন শিব কুমার দাবি করেছেন, পাকিস্তান ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পেরেছে প্রধানত ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের আরোপিত সীমাবদ্ধতার কারণে।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যেন তারা পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সরাসরি আঘাত না হানে। ফলে বিমানবাহিনী তাদের সম্পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারেনি।

জানা যায়, ৭ মে রাতে ভারত ছয়টি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর, পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাল্টা জবাবে ভারতের ৫-৬টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে, যার মধ্যে ৩টি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট।

ভারত দাবি করছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ক্যাপ্টেন কুমার বলেন, ‘বিমান হারানোর পর আমরা কৌশল পরিবর্তন করি এবং পরে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে পাল্টা হামলা চালাই।’ তিনি জানান, ৯ ও ১০ মে রাতে ভারত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে সফলভাবে আঘাত হানে। তবে শুরুর দিকের রাজনৈতিক নির্দেশনার কারণে বিমানবাহিনীকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু এড়িয়ে যেতে হয়েছিল।

দ্য ওয়্যার-এর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল মূলত পারমাণবিক উত্তেজনা এড়াতে এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী যেন সরাসরি ভারতীয় জঙ্গিবিমানকে লক্ষ্য না করে।

তবে পরে জাকার্তায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়। তারা জানায়, ক্যাপ্টেন শিব কুমারের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনেই কাজ করে, যা আমাদের সাংবিধানিক কাঠামোর অন্যতম ভিত্তি। এটি প্রতিবেশী অনেক দেশের প্রেক্ষাপট থেকে ভিন্ন।

এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সামরিক কৌশল নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।