লেবাননে ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অস্ত্র কারখানায় হামলা করেছে ইসরায়েল। ভয়াবহ সেই হামলায় কারখানাটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার বিষয়টি ইসরায়েল নিশ্চিত করলেও এখনো সেখানে হামলা চলছে কি না তা নিশ্চিত করা হয়নি।
আইডিএফ জানিয়েছে, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর কৌশলগত অস্ত্র স্থাপনা ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত করেছে। লেবাননের পূর্ব বেকা উপত্যকায় কারখানাটির অবস্থান। সেখানে বিমান হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে আইডিএফ বলেছে, এটি হিজবুল্লাহর একটি কৌশলগত অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণাগার। সন্ত্রাসী কাজে অস্ত্র সরবরাহের লক্ষ্যে কারখানাটি তৈরি করা হয়েছে।
আইডিএফ এর আগেও বেশ কয়েকবার এই স্থাপনাটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবুও সেখানে অস্ত্র উৎপাদন হচ্ছিল। দখলদারদের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের জারিয়ার শহরেও হিজবুল্লাহর অবকাঠামোতে হামলা করেছে। কারণ, সন্ত্রাসী অবকাঠামোর উপস্থিতি ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যে সমঝোতার লঙ্ঘন। আইডিএফ এ ধরনের লঙ্ঘন কখনও মেনে নেবে না।
গত ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে তেল আবিব ৬টি দেশের ওপর হামলা চালায়। যার মধ্যে রয়েছে- ফিলিস্তিন, সিরিয়া, তিউনিশিয়া, লেবানন, কাতার ও ইয়েমেন। গত সোমবার থেকে এই হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৫০ জন নিহত এবং ৫৪০ জন আহত হয়।
ওইদিন গাজার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৩২০ জন আহতদের মধ্যে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৪ জন এবং দুর্ভোগের কারণে দুই শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় ৮৩ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হয়।
ইসরায়েল অব্যাহতভাবে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে উঁচু ভবনধস এবং জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করছে। যদিও গাজায় নিরাপদ কোনো আশ্রয় নেই।