শত শত বাঙ্কার উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি জানিয়েছে, গত দুই মাসে অন্তত ৯৭৯টি বাঙ্কার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোহাট শান্তি চুক্তির আলোকে খুররম জেলার উপজাতি এলাকায় গত দুই মাসে মোট ৯৭৯টি বাঙ্কার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই বাঙ্কারগুলো উভয়পক্ষের দখলে থাকা এলাকায় অবস্থিত ছিল। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এখন চুক্তির পরবর্তী ধাপ— সকল পক্ষের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ— ধীরে ধীরে শুরু করা হচ্ছে।
সরকারি প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, গত তিন মাসে মোট ১ হাজার ৯৮৪টি যানবাহনের মাধ্যমে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে দুর্গত এলাকায়। এ ছাড়া বাগান বাজারে দোকান ও ভবন সংস্কারের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝেও অর্থ বিতরণ চলছে।
জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাইবার পাখতুনখোয়ার চিফ সেক্রেটারি সৈয়দ শাহাব আলি শাহ জানান, খুররমে শতভাগ বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে এবং উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, এলাকায় স্থানীয় জিরগা চলছে এবং এবারে একটি স্থায়ী শান্তি ঘোষণার দিকে অগ্রসর হওয়া হচ্ছে। চিফ সেক্রেটারি আরও বলেন, একই শান্তি কাঠামোর আওতায় বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তাল-পরাচিনার সড়কে, যা গত কয়েক মাস ধরে নিরাপত্তা হুমকির মুখে ছিল।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক উপজাতি সহিংসতায় খুররমে ১৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও বহু আহত হয়। দীর্ঘ ৫০ দিনের আলোচনার পর চলতি মাসের শুরুতে উপজাতি নেতাদের মাধ্যমে একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়। উভয়পক্ষই গ্র্যান্ড জিরগার সহায়তায় ১৪টি শর্তে একমত হয়, যার মধ্যে ছিল ব্যক্তিগত অস্ত্র সরকারকে জমা দেওয়া এবং বাঙ্কার ধ্বংস করা।