মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছে, দোহায় হামাসের আলোচকদের ওপর ইসরায়েলের হামলার আগে তারা কাতারি কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিল। উপসাগরীয় দেশটি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর আলজাজিরার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দোহা সরকারকে আগে থেকেই হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল বলে প্রচার করা হচ্ছে। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মাজেদ আল-আনসারি এক্স-এ এক বিবৃতিতে লিখেছেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার ফলে সৃষ্ট বিস্ফোরণের শব্দের সময় একজন আমেরিকান কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া ফোনটি এসেছিল। কিন্তু তার আগে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন, হামলা শুরু হওয়ার দশ মিনিট পরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনটি আসে এবং ঘটনাটিকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনকে মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে—ইসরায়েল হামাসের ওপর আক্রমণ চালাবে, যা দুর্ভাগ্যবশত কাতারের রাজধানী দোহার একটি অংশে অবস্থিত। বিষয়টি জেনে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। কারণ, কাতারের ভেতরে একতরফাভাবে বোমা হামলা হবে। একটি সার্বভৌম দেশ এবং আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতার। তারা শান্তির জন্য আমাদের সঙ্গে কঠোর এবং সাহসিকতার সঙ্গে ঝুঁকি নিচ্ছে। তবে গাজায় বসবাসকারীদের দুর্দশা থেকে লাভবান হামাসকে নির্মূল করার জন্য লক্ষ্যবস্তুটি অনুমোদনের যোগ্যতা রাখে।
লিভিট আরও বলেন, ট্রাম্প তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে আসন্ন আক্রমণ সম্পর্কে কাতারিদের অবহিত করার নির্দেশ দেন। পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেও দোহাকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।