ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৩টার দিকে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত তেহরানের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরানের ১০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। এ হামলার জন্য ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে তারা।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের এ হামলায় ইরানের শীর্ষ তিন সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
এক এক্সপোস্টে তারা জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাগেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ হোসেইন সালামি এবং খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ হামলায় নিহত হয়েছে।
ইরানের রাজধানীতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৩টার দিকে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে ইরানে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই হামলাটি উচ্চমানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে এবং এর মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা। দুই ডজনেরও বেশি জেট বিমানের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান ছিল নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত এবং সুনির্দিষ্ট।