রাজনীতি

ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই : ব্যারিস্টার ফুয়াদ


ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাস্টিস ফর জুলাই আয়োজিত ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরে ইনসাফের বীজ নিহিত আছে। একজন মূর্খ মানুষের মধ্যেও ইনসাফের ধারণা আছে। ইনসাফ যদি কায়েম না হয় তবে সেখানে সুনামি হয়, চিন্তার সুনামি, লড়াইয়ের সুনামি হয়। রক্ত দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। চব্বিশের লড়াইও সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে হয়েছে।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনের বয়ান ভেঙে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করতে হবে। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হেজেমনি, ইন্ডিয়ান হেজেমনি ভেঙে দিতে হবে। বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে শুধু চব্বিশের বিচার চাইলে হবে না, দশকের পর দশক চলা মামলার বিচারও চাইতে হবে, কৃষক-মজুরের জমির মামলার বিচারও চাইতে হবে। আমার কৃষক-শ্রমিক-দিনমজুর যখন রাষ্ট্রের কাছে তার প্রাপ্য বিচার পাবে তখনই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রইছ উদ্দীন বলেন, গ্রাম থেকে শহর রাজধানী থেকে জেলা প্রতিটি স্তরে বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে সয়লাব ছিল। আর এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা ধারণ করে চলছি। কারণ বিপ্লবের ১০ মাসেও আমরা ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। জাতীয় স্বার্থে, নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের ন্যায়বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচার করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইতিহাসের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা ন্যায়বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে পারিনি, কলোনিয়াল মাইন্ডসেটের কারণেই মূলত আমরা এটা করতে পারিনি। ফলে আমরা অপরাধী না দেখে ধর্ম, বর্ণ ও দলীয় ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে বিচার করি। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে ন্যায়বিচারের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক সজীবুর রহমান এবং সমাপনী মুখপাত্র মাঈন আল মুবাশ্বির।

এ সময় আলোচনা সভায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।