সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আনতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংস্কৃতি, প্রচার ও প্রকাশনা সেল গঠন করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) মধ্য রাতে দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে সংস্কৃতি সেল গঠিত হলো।
সংস্কৃতি সেলের সম্পাদক করা হয়েছে লুৎফল রহমানকে। সহ-সম্পাদক করা হয়েছে সৈয়দা নীলিমা দোলাকে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন আরও ছয়জন। তারা হলেন- মো. মেসবাহ কামাল, মোর্শেদ, সাইদ উজ্জ্বল, ইয়াহিয়া জিসান, সালাইদ্দিন জামিল সৌরভ, তাজনূভা জাবীন প্রমুখ।
অন্যদিকে এনসিপির প্রচার ও প্রকাশনা সেলের সম্পাদক হয়েছেন মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। সহ-সম্পাদক হয়েছেন এমএম শোয়াইব। এছাড়া সদস্য হয়েছেন খান মুহাম্মদ মুরসালীন, মো. আব্দুল মুনঈম, সৈয়দা নীলিমা দোলা, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আরজু আহমাদ, আসিফ মোস্তফা জামাল এবং খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল।
এদিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর : মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সিস্টেমের যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় স্বৈরাচারী আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। এনবিআর, সচিবালয়, বন্দর থেকে এখনো দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। সিস্টেমের যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় স্বৈরাচার আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার আমলে যে কালো আইন বানানো হয়েছিল, সে আইনের ভিত্তিতেই পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা শুনতে পাচ্ছি, সেখানে বিভিন্ন দলের রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচনী আসনে বিভিন্ন দলের সুপারিশকৃত লোক দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তিনটি ভিত্তিমূল হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার। এগুলোকে বাইপাস করে যদি নির্বাচন করা হয়, সেটা হবে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে গাদ্দারি করা।