রাজনীতি

ছাত্রশিবির সবসময় ঐক্যের পক্ষে থাকবে : শিবির সভাপতি

ছাত্রশিবির সবসময় ঐক্যের পক্ষে থাকবে : শিবির সভাপতি


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেস্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ’র সঞ্চালনায় দেশের ২০টির অধিক ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইফসুর (IIFSO) সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ।

ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান একক কোনো ব্যক্তি বা দলের ছিল না বরং সবাই এতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। উপস্থিত সব ছাত্রনেতাদের সমস্যাকে বড় করে না দেখে শহীদদের রেখে যাওয়া অবারিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া তিনি অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও শহীদ পরিবার, আহত এবং পঙ্গুত্ব পরিবারগুলোকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করাসহ ছাত্ররাজনীতির পরিশুদ্ধতার জন্য ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

March For Gaza কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুর স্থায়ী সমাধান করতে পারে।

সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামীতে সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে সব ছাত্রসংগঠন একসঙ্গে কাজ করবে।

ইফসুর (IIFSO) সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বলেন, বিপ্লব ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজ না করে এবং দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে। ফিলিস্তিন ইস্যু আবেগ দিয়ে নয় বরং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রনেতারা ছাত্রসংগঠনগুলোর জন্য নিম্নোক্ত পরামর্শ প্রদান করেন :

* ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখা।

* ফিলিস্তিনের গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয় যা মুসলিম বিশ্বের ঈদকে ম্লান করে দিয়েছে।

* ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।

* ছাত্রশিবির ক্রেডিট ভাগাভাগি না করে সবাইকে ক্রেডিট দেওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

* এবারের ঈদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, আহত ও পঙ্গুত্ব পরিবারের জন্য ছিল না বলে অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়।

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, আহত ও পঙ্গুত্ব পরিবারকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিতে না পারলে প্রয়োজনে ছাত্রসংগঠনগুলো স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তা করার আহ্বান জানানো হয়।

* সর্বজনীন ছাত্র ঐক্যের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

* March For Gaza কর্মসূচি সুশৃঙ্খলভাবে বাস্তবায়ন করে বহির্বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

* ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্ব বিশেষ করে আরব বিশ্বের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয় এবং কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

* ছাত্ররাজনীতিকে নিষ্কলুষ করতে অবিলম্বে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়।

* অবিলম্বে ফ্যাসিবাদের ক্রীড়নক আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।

* শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের অবিলম্বে বিচার দাবি করা হয়।

সমাপনী বক্তব্যে ছাত্রশিবির সভাপতি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।