রাজনীতি

জমিয়তে ইসলামের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

জমিয়তে ইসলামের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা


ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাদ জুমা এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

শনিবার (১৯ জুলাই) এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। কর্মসূচি পালন করতে সব জেলা ও মহানগর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘ঢাকায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বাদ জুমা এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।’

দলের প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে, শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও তরুণদের জন্য একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে চাই আমরা। মানবিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমাজের সব মানুষের প্রয়োজন রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের পাশে থেকে সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। কিছু স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্রকারী দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাদের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই, তারা দেশের স্বার্থ নয়, নিজেদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়। তারা কখনোই প্রকৃত বাংলাদেশি বা সৎ নাগরিক হতে পারে না।’

ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, “বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আল কোরআনকে জাতীয় পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এই মহৎ উদ্যোগের সুফল এই দেশের প্রতিটি সাধারণ মানুষ ও আলেম সমাজ ভোগ করবে, ইনশাআল্লাহ।’

আমিনুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও দেশে গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য বিএনপির বহু নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা এবং আলেমদের রক্ত দিতে হয়েছে, জীবন দিতে হচ্ছে।’

তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখার প্রতি আলেমদের সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখায় ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আলেম সমাজের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ সংযোজন করে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে কাজ করে যাচ্ছি।’

আমিনুল হক আরও বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ভাইয়েরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা সেই ত্যাগকে স্মরণ করে সমাজকে নতুনভাবে গড়তে চাই। এই লক্ষ্য অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।