সামরিক শাসনের উত্তরাধিকার বহন, দুর্নীতি এবং গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুলাই আন্দোলনের সংগঠক ও এনসিপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রাজনৈতিক কর্মী হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে হাইকোর্টে এর প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করা হবে।
রিটে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ ও একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নানা সময়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কলুষিত করেছে।
এতে বলা হয়, শুধু তা-ই নয়, দলটি গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা, সামরিক শাসনের উত্তরাধিকার বহন, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অপব্যবহার এবং জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত।
নোটিশে বলা হয়, এ দলটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতন্ত্রের মূলধারা ক্ষুণ্ন করেছে এবং বারবার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার ইতিহাসে জড়িত থেকেছে। বর্তমানে জাতীয় স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এ ধরনের রাজনৈতিক দলকে বৈধতা দেওয়া জনস্বার্থবিরোধী।
এর আগে সামরিক শাসনের উত্তরাধিকার বহন, দুর্নীতি এবং গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আবেদন জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে।
গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বংশালের বাসিন্দা হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ বছরের দুঃশাসনের কারণে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
এরপর ছাত্র আন্দোলনের মুখে বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে তার সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করে। তবে জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদী মাফিয়া হাসিনার সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার দোসর হিসেবে সব সময় সাপোর্ট দিয়ে গেছেন।