রাজনীতি

‘নতুন করে আর কোনো সরকারকে স্বৈরাচার হতে দেওয়া হবে না’

‘নতুন করে আর কোনো সরকারকে স্বৈরাচার হতে দেওয়া হবে না’


নতুন করে আর কোনো সরকারকে জুলুমবাজ, স্বৈরাচার হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস স্মরণ, শিল্পক্ষেত্রে গ্যাস ও ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, পাচার ও লুণ্ঠনকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংবিধান সংস্কার সভা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।

হাসনাত কাইয়ূম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল- তারা গরিব-দুঃখী জনগণের পক্ষে থাকবেন। তাদের পক্ষে আইন বানাবেন, রাষ্ট্র সংস্কার করবেন। কিন্তু আজ ৮ মাস পরেও এ দেশের গরিব-দুঃখীদের পক্ষের কাজগুলোতে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। আমাদের বারবার দাবির পরও কৃষি সংস্কারের কোনো কমিশন হয়নি। দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, পাচারকারীদের বিচার করা হয়নি।

পাচারকৃত টাকা ফেরতের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। টাকা উদ্ধার ও বিচারের জন্য আমাদের দাবিকৃত ট্রাইব্যুনাল বানানো হয়নি। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেই লুটপাট, পাচারকারীদের বিচরণ এখন খোলামেলা। তারা নিজেরা সরাসরি নিজেদের টাকায় কিংবা সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রচ্ছন্ন সহায়তায় নিত্য-নতুন রাজনৈতিক দল বানাচ্ছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরের সরকারগুলোর মতো এই সরকারও দ্রব্যমূল্য কমাচ্ছে কৃষক মেরে। রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করছে গ্যাস ও তেলের দাম বাড়িয়ে। এই সহজ পথ তারা বেছে নিয়েছে লুটপাটকারী, পাচারকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে।

দলের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, সংস্কারের পক্ষে ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য নিশ্চিতে এই সরকার ব্যর্থতার পরিচয় রাখছেন। বিশেষ কোনো কোনো দলের প্রতি সরকারের পক্ষপাতিত্ব খুবই দৃষ্টিকটু। কারও কারও বিরুদ্ধে নতুন করে জুলুমবাজ হয়ে উঠার সুস্পষ্ট লক্ষণ থাকলেও সরকার নির্বিকার। বরং চিহ্নিত লুটপাটকারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেটাও সরকারেরই প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায়। এটা আমরা হতে দিবো না।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশির, রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মিন্টু মিয়া, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দীন, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য সেলিম খান।

বক্তারা অবিলম্বে সব রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের যাত্রা বেগবান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।