রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সাক্ষাতের সময় জানা গেল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সাক্ষাতের সময় জানা গেল


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাক্ষাতের জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল বিএনপিকে সময় দিয়েছেন। ওইদিন দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনী সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও সংস্কার ইস্যুতে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে সময় চেয়েছিল বিএনপি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রকৃত মনোভাব যে কী, তা এখনো বুঝে উঠতে পারছে না বিএনপি। সরকারের তরফ থেকে আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী জুনের মধ্যে নির্বাচনের যে সময়সীমার কথা বলা হয়েছে, তাতে নির্বাচন নিয়ে দলটির মধ্যে এক ধরনের ‘শঙ্কা’ কিংবা ‘ধোঁয়াশা’ রয়েই গেছে। যতই দিন যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা বাড়ছে বলেও মনে করছে দলটি। তাই এই বিষয়ে সরকারের নীতিগত অবস্থান কী, ঠিক কবে নাগাদ তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা করছেন, সংস্কার প্রক্রিয়া এগুচ্ছে না কেন, তা স্পষ্টভাবে জানতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাথে আবারো সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। ড. ইউনূসের সাথে সাক্ষাতের পরই নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে দলের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ড. ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে। চিকিৎসার জন্য গত রোববার (৬ এপ্রিল) সিঙ্গাপুর গেছেন মির্জা ফখরুল। ১৬ এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এর আগে বিভিন্ন সময়ে দলীয় ও জাতীয় বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে এবার দলের পক্ষ থেকে সাক্ষাতের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি একটু ভিন্ন। বিএনপি যে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়, সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি বলবেন তারা। এরপর নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকবে দলটির। বিশেষ করে কবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানা-বোঝার চেষ্টা করবেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়। দলটি মনে করে, নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চেয়েছি। উনার সাথে সাক্ষাতের পরেই আমরা এ বিষয়ে (নির্বাচনের বিষয়) কথা বলব। সাক্ষাতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের আগে একটা রোডম্যাপ চাইব। যেটা উনি পরিষ্কারভাবে জাতির সামনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করেন। যাতে করে জাতির মধ্যে যে একটা অনিশ্চিত-অস্থিরতা ভাব আছে, সেটা কেটে গিয়ে রাজনীতিতে যেন স্থিতিশীলতা আসে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আসে। সেগুলো লক্ষ্য রেখে আমরা বলব যে, এটা যথেষ্ট সময়।’





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।