জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাগে আনতে না পেরে ভারত সরকার রাগে-দুঃখে আমাদের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে। তারা ভুলে গেছে, তাদের সাতরাজ্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকে বাংলাদেশের ট্রানজিট এবং করিডোর ব্যবহারের আশায়। সেভেন সিস্টার্স স্থলবেষ্টিত এবং অত্র অঞ্চলে বাংলাদেশই একমাত্র সমুদ্রের নিয়ন্ত্রক। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পাল্টা জবাব দিন।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার শাসনামলে ঢাকা-দিল্লির সব ধরনের গোপন চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং ভারতকে দেওয়া সব ট্রানজিট-করিডোর সুবিধা বাতিল করতে হবে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনস্থ শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে ভারত কর্তৃক ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের প্রতিবাদ এবং ভারতকে দেওয়া সব ট্রানজিট-করিডোর বাতিলের দাবিতে জাগপা আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ প্রধান এসব কথা বলেন।
জাগপার এই সহসভাপতি বলেন, ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু ছিল না। ’৭১ থেকে ’২৪ বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর নীল নকশায় তারা বন্ধুত্বের অভিনয় করেছে। তাদের নোংরা অভিনয় এবং ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকার লক্ষ্যে দেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বন্ধ করা প্রয়োজন। একদা নরেন্দ্র মোদি গরু এবং পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিলেন, আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
বাংলাদেশের মানুষ ভারত ভ্রমণ এবং চিকিৎসাসেবা নেওয়া বন্ধ করেছে, তাতেই ভারতের ব্যবসায়ীদের ক্রন্দন থামছে না। আমরা এবার পরিপূর্ণরূপে ভারত এবং ভারতীয় পণ্য বয়কট করব। ৫ আগস্ট আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদ থেকে যে মুক্তি এসেছে, সেটাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, ঢাকা মহানগর জাগপার সদস্য সচিব মাহিদুর রহমান বাবলা, ঢাকা জেলা জাগপার সহসভাপতি জিয়াউল আনোয়ার, জাগপা ছাত্রলীগ সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম, যুব জাগপার ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী প্রমুখ।