মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে খতমে নবুওয়াত। সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে আগামী ১৫ নভেম্বর সংগঠনটি রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে।
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আফতাবনগর মাদ্রাসায় মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমীর আবদুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) মহাসমাবেশকে সফল করার জন্য দেশব্যাপী তৌহিদী জনতা, ওলামায়ে কেরাম, ছাত্র-তরুণ, ঈমানদার জনগণকে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মাওলানা রশিদ আহমাদের সভাপতিত্বে এবং মুফতি ইমাদ উদ্দীন ও মুফতি আবুল কাসেম আশরাফীর পরিচালনায় বাস্তবায়ন কমিটির পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়ণগঞ্জ), মাওলানা আব্দুল কাদের, মুফতি সাঈদ নুর, মুফতি সালাউদ্দীন (দিলু রোড), লেহাজ উদ্দীন ভূঁইয়া, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মিজানুর রহমান কাসেমী, আব্দুল লতিফ ফারুকী, দ্বীন মুহাম্মদ (পীর সাহেব জায়গীর), মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা আহমদ উল্লাহ, মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, শামসুল আরেফিন সাদী খান, মাওলানা মামুনুর রশিদ, হোসাইন আহমদ ইসহাকী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি শফিক সাদী, মাসউদুর রহমান আইয়ুবী, মাওলানা নাজমুল হাসান বিন নুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি হায়াত মাহমুদ জাকির, খালিদ সাইফুল্লাহ নোমানী ও মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মধুপুরের পীর আবদুল হামিদ বলেন, কাদিয়ানীরা অমুসলিম। কারণ তারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পরেও নবী আসার বিশ্বাস করে, যা স্পষ্ট কুফরি আকীদা। তারা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী হিসেবে মানে। তারা কুরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে নিজস্ব বিকৃত ব্যাখ্যা ও ধর্মমতে বিশ্বাস করে। তারা মুসলমানদের ‘কাফের’ বলে আখ্যা দেয়।
নেতারা বলেন, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট এবং বহু মুসলিম দেশের আইন অনুযায়ী কাদিয়ানীরা অমুসলিম ঘোষিত। বাংলাদেশেও কাদিয়ানীদের এই ভ্রান্ত ফেরকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। ইসলাম ও মুসলমানদের নাম ব্যবহার করে তাদের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, কাদিয়ানী প্রোপাগান্ডা রুখতে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে সরকারসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।