রাজনীতি

রাসুলের দেখানো পথেই মানুষ সৎভাবে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে : তারেক রহমান 

রাসুলের দেখানো পথেই মানুষ সৎভাবে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে : তারেক রহমান 


মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো পথেই মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দুনিয়াতে আগমণের আনন্দ এবং তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহর প্রতি ঈমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ। তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহ’র পক্ষ থেকে সব থেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তা’আলা তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।

তিনি বলেন, হযরত মুহম্মদ (সা.) এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তার আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (সা.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যাভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যার আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয়। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি- মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।