জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) পরিচালক ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহর পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদ উল্লাহর কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর রাজধানীর কলাবাগানে কাজী বশির উদ্দিন রোড জামে মসজিদের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু ও তানভীর আহমেদ রবিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সোহাগ আউয়াল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কোষাধ্যক্ষ ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী এবিএম আবদুস সাত্তার, তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নূর উদ্দিন আহাম্মেদ অপু, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, কেন্দ্রীয় নেতা বেলায়েত হোসেন মৃধা, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ওবায়দুল হক নাসির, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ফখরুল ইসলাম রবিন, জহির উদ্দিন তুহিন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আব্দুল বাতেন শামীম, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মেহেদুল ইসলামসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অসংখ্য নেতাকর্মী। এছাড়াও মরহুমের বড় ছেলে ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ ও ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার শাহ আদনান মাহমুদসহ মরহুমের আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ মাহফিলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মরহুম মাহবুব আলী খান, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও বড় মেয়ে ব্যারিস্টার জেইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তানদের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মরহুমের বন্ধু ইসমাইল জবিহউল্লাহ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার দীর্ঘদিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল মাহমুদ উল্লাহ। তার মৃত্যু আমাকে বেশ বিচলিত করে। আপনারা সবাই আমার জন্য ও বন্ধু মাহমুদ উল্লাহর জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে মাহমুদ উল্লাহ ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর এবং তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
মরহুম মাহমুদ উল্লাহ পেশাগত জীবনে রাজধানী ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এছাড়াও তিনি আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।